Bangla Section
নিউ এজ ইসলাম আইএসআইএস-এর বিরুদ্ধে একটি প্রচারণা চালিয়েছিল এবং সরকার ও মুসলিম সম্প্রদায়কে জানিয়েছিল যে আইএসআইএস ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটা ষড়যন্তরের অংশ এবং সরকারকে দাবি করে যে, দেশের মুসলমান তরুণদের উপর তার প্রভাব প্রতিরোধ করতে অবিলম্বে আইএসআইএস কে নিষিদ্ধ করা উচিত।....
২৬/১১ এর এই অনুষ্ঠানে আমরা ভারতীয়রাও গর্বের সাথে বলতে
পারি পাকিস্থানী সন্ত্রাসীরা এবং পাকিস্তানে অবস্থিত তাদের পরিচালকেরা ভারতীয় সমাজের
যৌথ সংস্কৃতির উপর একটা দাগ ও কাটতে পারেনি। যদি আমরা বলি আজ গোটা দুনিয়ায় কোথাও যদি
শান্তি ও নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি হয় সেখানে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের কোনই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না। হয়ত আমাদের এই কথা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের আত্মার
প্রতি সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধাঞ্জলি হবে। দূর্গতেরা ঠান্ডা মাথায় এই বর্বর আইডোলজির চরম বর্বরতা
শিকার, যা আমাদেরকে
বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীতে বিভক্ত করতে চায়। কিন্তু আমরা কখনই এই সন্ত্রাসীদের
নাপাক ইচ্ছা সফল হতে দিইনি। আসুন ! এখন আমরা সবাই মিলে অঙ্গীকারাবদ্ধ হই যে,
আমরা তাদের দুনিয়ার কোথাও সফল হতে দেবোনা।
ইসলাম অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর নির্দেশের কাছে নিজেকে সন্তুষ্ট চিত্ত সঁপে দেয়া। তার প্রতি ঈমান রাখা, তার কাছে প্রতিদানের আশা করা এবং বিশ্বাস করা যে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জীবন যাপনের মধ্যে রয়েছে কল্যাণ ও সফলতা। এটাও বিশ্বাস করতে হবে যে আল্লাহ তাআলা হলেন হাকিম বা মহাজ্ঞানী। তার বিধানই পূর্ণাঙ্গ ও সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং সুন্দর। তার প্রতিটি বিধানে রয়েছে হেকমত বা কল্যাণকর মহা উদ্দেশ্য। অনেক সময় মানুষ তার বিধানের কল্যাণকর দিক ও হেকমত যথার্থ ভাবে অনুধাবন করতে পারে না।
শুনে বেশ কঠিন মনে হলেও এটি Time Management এর এক নম্বর শর্ত। নিঃসন্দেহে ফযরের পরের সময়টুকু খুবই বরকতপূর্ণ। এই সময়ে নানাবিধ দূয়া ও যিকর হাদীসে পাওয়া যায় যেগুলোর ফযীলত ও প্রভাব অপরিসীম। দিনের শুরুই যদি হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং অন্তরের প্রশান্তি নিয়ে তবে সারা দিনের সমস্ত কাজ সময়মত গুছিয়ে নেওয়ার মানসিকতা তৈরী হয়ে যায়। গ্রীষ্মকালে ফযরের পর অফিস/স্কুল/কলেজ/ভার্সিটি টাইমের আগ পর্যন্ত প্রায় ২.৫-৩ ঘণ্টা এবং শীতকালে ১.৫-২ ঘণ্টা সময় পাওয়া যায়। এই বিপুল পরিমাণ সময়কে কাজে না লাগানোর কোন যৌক্তিকতা থাকতে পারে না, বিশেষত যখন এই সময়ে আল্লাহর অতিরিক্ত রহমত ও বরকত নেমে আসে। কুরআন-হাদীস পাঠ ছাড়াও দিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজের কিছু অংশ এই সময়ে করে রাখা গেলে সারাদিনের চাপ কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমাদের কাছে স্পষ্ট হলো যে, কুরআন, হাদীস ও গ্রহণযোগ্য আলেমদের বাণী থেকে আমরা জানতে পারলাম শা‘বানের মধ্য রাত্রিকে ঘটা করে উদযাপন করা, চাই তা নামাযের মাধ্যমে হোক অথবা অন্য কোন ইবাদতের মাধ্যেমে অধিকাংশ আলেমদের মতে জগন্যতম বিদ‘আত। শরীয়তে যার কোন ভিত্তি নেই। বরং তা’ সাহাবাদের যুগের পরে প্রথম শুরু হয়েছিল। যারা সত্যের অনুসরণ করতে চায় তাদের জন্য দ্বীনের মধ্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা করতে বলেছেন তাই যথেষ্ট।
বিশ্বের কোনো দেশেই স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি করার ইতিহাস নেই। সমাজে অবহেলিত হয়ে বসবাস করতে হয় তাদের। বিশ্বের বড় দুটি অর্থনৈতিক শক্তি আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশীয় সহযোগীরা ব্রিটিশ সেনাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি চিনিয়ে দিত। ইতিহাসবিদদের হিসাব অনুয়ায়ী, প্রায় পাঁচ লাখ দেশীয় সহযোগী ব্রিটিশ সেনাদের সহযোগিতা করছে। এরা সমাজের ধনী ব্যক্তি ছিল। শত শত কালো দাসকে ব্রিটিশের পক্ষে যুদ্ধ করার শর্তে ব্রিটিশপ্রভুরা মুক্ত করে দিয়েছিল। কিন্তু ওরা মুক্ত হয়েই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। আমেরিকা যখন স্বাধীন হয়, তখন ওই ব্রিটিশ সহযোগীদের ২০ শতাংশ আমেরিকা ছেড়ে ব্রিটিশদের আরেক সাম্রাজ্য, কানাডার অন্টারিও, কুইবেক ও নোভাস্কশিয়াতে চলে যেতে বাধ্য হয়। জর্জ ওয়াশিংটন ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘‘আমরা পরাজিত ব্রিটিশ সৈন্যদের কিছুই বলব না। তবে যারা এই সৈন্যদের মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি দেখিয়েছে, তাদের পিছনে আমরা একটি গুলিও খরচ করব না। তাদের গরম আলকাতরায় চুবিয়ে মারব।’’…..
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, ৬২০ খ্রিস্টাব্দের রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত পবিত্র এই রাতে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহর খাস রহমতে প্রথমে কাবা শরীফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন। সেখানে নবীদের জামায়াতে ইমামতি করে তিনি ‘বোরাক’ নামের বাহনে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন এবং সিদরাতুল মুনতাহায় উপস্থিত হন। ওই পর্যন্ত তার সফরসঙ্গী ছিলেন আল্লাহর ফেরেশতা হজরত জিবরাইল (আ.).......
ফিতনা ফাসাদ সৃষ্টিকে মহান আল্লাহ মানব হত্যার চেয়েও কঠোর বলে অভিহিত করেছেন। এরশাদ হয়েছে, 'ফিতনা হত্যা অপেক্ষাও গুরুতর অন্যায়।' (সূরা বাকারা : আয়াত ১৯১, ২১৭)। সমাজে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের নিন্দা করে মহান আল্লাহ বলেন, 'যখন সে প্রস্থান করে তখন সে পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টির এবং শস্য ক্ষেত্র ও জীবজন্তু ধ্বংসের চেষ্টা করে। আর আল্লাহ অশান্তি পছন্দ করেন না।' (সূরা বাকারা : আয়াত ২০৫)....
এটা দুই বছরেরে মধ্যে ইসলামপন্থীদের দ্বারা তৃতীয় হত্যা. প্রথমে ফেব্রুয়ারী ২০১৩-এ আহমদ রাজীব হায়দর ইসলামপন্থীদের হাতে মারা যায় যখন শাহবাগ আন্দোলন চরমে ছিল . তাপরে গত মাসে বাংলাদেশী আমেরিকান অভিজিত রায় মারা যায়। তিনটি ই পুর্বকল্পিত আর এক রকম। আহত অনুভূতির কান্না, চাপাতি ব্যবহার, মাদ্রাসা যুক্ত তরুণ ইসলামপন্থীদের ভূমিকা, অপরাধের বর্বরতা এই হত্যার সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে.ওরা ওয়াশিকুরের চেহারা কে এমন ভাবে বিক্রিত করেছিল যে ওকে সনাক্ত করা মুশকিল।
কলকাতার এক মাদ্রাসা শিক্ষক ও উদারপন্থী লেখক মাসুম আখতার এর ওপর চরমপন্থী ইসলামী মতাদর্শের অবলম্বনকারীদের হামলা আবার প্রমানিত করেছে যে পশ্চিম বাংলায় চরমপন্থী ও ধার্মিক হিংসাবাদ বাড়ছে। পশ্চিম বঙ্গ সব সময় সহনশীলতা এবং ধার্মিক ও সংস্কৃতিক উদার্প্ন্থার কেন্দ্র থেকেছে۔ কয়েক দিন আগে তিনি ক্লাসে ইসলামের ওপর বক্তৃতা দেন. তিনি বলেন যে হয় তো কিছু ছাত্র তাঁর বক্তৃতার বিষয় বস্তুর ভুল ব্যখ্যা করে এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে দেয়। 26 মার্চ এ লোহার রড ধারী এক মব তাঁর ওপর হামলা করে যার ফলে তাঁর মাথা ফেটে যায়. তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল ছাড়ার পর তিনি চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে একটি পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপতার করে নি। এলাকার মুসলিম সমুদায় তাঁর বিরুদ্ধে ধার্মিক ভাবনার ওপর আঘাত করার অভিযোগ তুলে মাস পিটিশন দায়ের করেছে। মাসুম আখতার এর কারবালা-র বিষয়ে একটি লেখা গত বছর বাংলা দৈনিক-এ প্রকাশিত হয়ে। এই প্রবন্ধে ধার্মিক নয় একটা এইতিহাসিক দৃষ্টিকোণ ছিল। তার পর থেকে ই তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।আবার তিনি গত বছর একটি কাগজে বর্ধমান বিস্ফোরন সম্পর্কে একটি নিবন্ধ লেখেন। এই নিবন্ধে উনি লেখেন যে যদি কোনো ম্দ্রাসা উগ্রবাদী ঘটনায় লিপ্ত থাকে তার বিরুদ্ধে
আইনি পদক্ষেপ নেয়া হোক।এর ফলে আবার মাদ্রাসা সমাজ তাঁর বিরুদ্ধে খেপে যায়।তিনি বলেন যে দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার মোল্লা ও এমাম তাঁর বিরুদ্ধেস্থানীয় এমাম আর মোল্লা মানুষের মধ্যে ভুল ধারনা ছড়াচ্ছে।
মা-বাবা ছোট শব্দ, কিন্তু এ দুটি শব্দের সাথে কত যে আদর, স্নেহ, ভালবাসা রয়েছে তা পৃথিবীর কোন মাপযন্ত্র দিয়ে নির্ণয় করা যাবে না। মা-বাবা কত না কষ্ট করেছেন, না খেয়ে থেকেছেন, অনেক সময় ভাল পোষাকও পরিধান করতে পারেন নি, কত না সময় বসে থাকতেন সন্তানের অপেক্ষায়। সেই মা বাবা যাদের চলে গিয়েছেন, তারাই বুঝেন মা বাবা কত বড় সম্পদ।…..
Even though the prophet was tortured by Makkans and forced to migrate, the prophet peace be upon him did not take revenge. This written constitution drafted by the prophet (peace be upon him) maintained a moderate and balanced attitude towards all communities living in the Medinan society and gave the concept of respecting the local customary laws of all tribes and religions regardless of religion, caste, creed and colour. It guaranteed protection of human rights, women's rights, social rights, cultural rights, religious freedom, and rights of minorities living in the state. This written constitution declares Madina as a state of peace and security, free from every kind of violence and terrorism.
ইসলাম শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান নাগরিকদের জানমাল ও সম্মানের অধিকার প্রদান করে না, বরং অন্যান্য ধর্মাবলম্বী তথা হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান প্রভৃতি সংখ্যালঘু অমুসলিম নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করে থাকে। ইসলাম অমুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য মানবাধিকারও সংরক্ষণ করে। বিশ্বনবী (সা.) অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত সহনশীল। এটি ছিল তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি বিশেষত্ব। ইসলাম আরবভূমির বাইরে ও বিজিত অঞ্চলে একমাত্র শান্তিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যে ধর্মে তার শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন কোনো অবস্থাতেই রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু অমুসলিমদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) যুদ্ধের তীব্রতার মধ্যেও মুসলমানদের মানসিকতা কী হবে, তা সুস্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, ‘শিশুদের হত্যা করবে না। গির্জায় যারা (খৃষ্টান ধর্মযাজক) ধর্মীয় উপাসনায় জীবন উৎসর্গ করেছে, তাদের ক্ষতি করবে না, কখনো নারী ও বৃদ্ধদের হত্যা করবে না; গাছপালায় আগুন লাগাবে না বা গাছ কেটে ফেলবে না; ঘরবাড়ি কখনো ধ্বংস করবে না।’